বিশ্বের অবাক করা কাণ্ড

শাড়ি পরে ম্যারাথনে ৪২ কিলোমিটার দৌড়
ম্যারাথনে অংশ নিতে সাধারণত আরামদায়ক ও হালকা পোশাক পরেন প্রতিযোগীরা, যাতে লম্বা সময় স্বাচ্ছন্দ্যে দৌড়াতে পারেন। তাই শাড়ি পরে ম্যারাথনে অংশ নেওয়ার কথা শুনে অবাক হতে হয় বৈকি। সবাইকে অবাক করে দেওয়ার মতো এমন কাণ্ডই ঘটিয়েছেন মধুস্মিতা জেনা দাস নামের ৪১ বছর বয়সী ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক ব্রিটিশ নারী। তিনি যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টারে আয়োজিত এক ম্যারাথনে ৪২ কিলোমিটার দৌড়েছেন ভারতের ওডিশার ঐতিহ্যবাহী সাম্বলপুরি শাড়ি পরে। ভিনদেশের মাটিতে দেশের ঐতিহ্যকে তুলে ধরায় ভারতীয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের প্রশংসায় ভাসছেন তিনি। মধুস্মিতা জেনা দাস ম্যারাথন শেষ করেন ৪ ঘণ্টা ৫০ মিনিটে। তার পরনে ছিল লাল রঙের সাম্বলপুরি শাড়ি। শাড়িটি হস্তচালিত তাঁতে বোনা। তার পায়ে ছিল কমলা রঙের স্নিকার। টুইটারে ওই ম্যারাথনের ভিডিও প্রকাশ করে এক ব্যক্তি লিখেছেন, ম্যানচেস্টারে বসবাসকারী ওডিশার এক নারী যুক্তরাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম ম্যানচেস্টার ম্যারাথন ২০২৩-এ সাম্বলপুরি শাড়ি পরে দৌড়েছেন। বিষয়টি খুবই দারুণ। তার স্পৃহার প্রতি ভালোবাসা! ফ্রেন্ডস অব ইন্ডিয়া সোসাইটি ইন্টারন্যাশনাল ইউকের টুইটার অ্যাকাউন্টেও ম্যারাথনের ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, শাড়ি পরে স্বচ্ছন্দে দৌড়াচ্ছেন মধুস্মিতা। বন্ধু ও পরিবারের সদস্যরা চিৎকার করে তাকে উৎসাহ দিচ্ছেন। টুইটার পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টারে বসবাসকারী ভারতীয় নারী মধুস্মিতা জেনা প্রিয় সাম্বলপুরি শাড়ি পরে ম্যানচেস্টার ম্যারাথন ২০২৩-এ সহজেই দৌড়েছেন। গর্বের সঙ্গে তিনি ভারতীয় ঐতিহ্যকে তুলে ধরেছেন। ভারতীয় পোশাকের প্রতি আমন্ত্রণমূলক প্রকাশভঙ্গিও ছিল তার।’

একজন পুরুষের ৪০ জন স্ত্রী
একজন ব্যক্তির কতজন স্ত্রী থাকতে পারেন? ১, ২, ৩, ৪ কিংবা ১০ জন। কিন্তু একজন ব্যক্তিকে যদি ৪০ জন নারী স্বামী হিসেবে দাবি করেন তাহলে যে কারও চোখ কপালে উঠবে। অবাক করা এই ঘটনা ঘটেছে ভারতের বিহারে। সেখানকার এক ব্যক্তির স্ত্রী ৪০ জন! অবাক করা এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যে শোরগোল পড়েছে। আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে অনলাইন-অফলাইনে। ঘটনাটি প্রথম জানা গেছে আদমশুমারির তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে। কর্মীরা যখন তথ্য সংগ্রহ যান, তখন একে একে কয়েকজন নারী নিজের স্বামীর নাম বলেন ‘রূপচাঁদ’। শুরুতে আদমশুমারির তথ্য সংগ্রহে যাওয়া কর্মীরা ততটা পাত্তা দেননি। কিন্তু একই নাম বারবার আসতে থাকায় তারা অবাক হয়ে যান। গুনে দেখা যায়, একে একে ৪০ জন নারী তাদের স্বামীর নাম একই বলেছেন। পরে কর্মীরা ওই নারীদের সন্তানদের কাছে বাবার নাম জিজ্ঞাসা করেন। সবাই একই উত্তর দেন, তাদের বাবার নাম রূপচাঁদ। পরে আদমশুমারিতে এই নাম নথিভুক্ত করা হয়। যদিও রূপচাঁদ নামে আদতে কোনো ব্যক্তি আছেন কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কেননা, আদমশুমারির তথ্য সংগ্রহে যাওয়া কর্মীরা এই তথ্য পেয়েছিলেন বিহারের এমন একটি এলাকা থেকে, যেখানে যৌনকর্মীরা বসবাস করেন। ওই এলাকার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে তথ্য সংগ্রহের সময় এই বিষয় নজরে আসে। সেখানে বসবাস করা নারীরা নিজেদের স্বামীর নামের জায়গায় রূপচাঁদ নামটি ব্যবহার করেন। তাদের সবার সন্তানদের বাবার নামের জায়গায় এ নাম ব্যবহার করা হয়। বিহার রাজ্যে গত ৭ জানুয়ারি থেকে আদমশুমারির তথ্য সংগ্রহ শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের এই রাজ্যে আদমশুমারি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। প্রকল্পটি পরিচালনায় ব্যয় হচ্ছে ৫০০ কোটি রুপি।

একই নম্বরে লটারি জয়ে হ্যাটট্রিক
লটারি-ভাগ্য সবার সুপ্রসন্ন হয় না। তবে কারও কারও লটারি-ভাগ্যের কথা শুনে চমকে উঠতে হয়! যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের চার্লস কাউন্টির ৫২ বছর বয়সী এক ব্যক্তি যেমন এক বছরে তিনবার লটারি জিতে সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে এসেছেন। এখানেই শেষ নয়, তিনি তিনবারই লটারি জিতেছেন একই নম্বরের টিকিটে। সর্বশেষ তিনি ১৩ এপ্রিল ৫০ হাজার মার্কিন ডলারের লটারি জিতেছেন। লটারির আয়োজক সংস্থা মেরিল্যান্ড লটারির পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। এর আগে গত বছরের মে মাসে তিনি সর্বশেষ দুটি ৫০ হাজার মার্কিন ডলারের লটারি জিতেছিলেন। অর্থাৎ ১১ মাসের মধ্যেই তিনি তিনবার লটারি জিতেছেন। মেরিল্যান্ড লটারির পক্ষ থেকে বলা হয়, তাদের ‘পিক ৫’ নামের একটি লটারি খেলায় টিকিট কাটেন ওই ব্যক্তি। তিনবারই তিনি ‘৪৮৫৪৮’ নম্বর বেছে নেন। তিনবারই ওই নম্বরেই পুরস্কার পান তিনি। তার লটারি জেতার এ খবর দেশটির বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে। তবে লটারি জেতার এই ‘হ্যাটট্রিক’ নিয়ে অনেকের মধ্যেই কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে। লটারি জেতার ‘রহস্য’ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে ওই ব্যক্তি বলেন, তিনি ও তার স্ত্রীর কাছে ব্যক্তিগতভাবে গুরুত্ব বহন করে, এমন সংখ্যার একটি সেট তিনি বেছে নিয়েছিলেন। সেই সংখ্যাই তাদের ভাগ্য খুলে দিয়েছে। ওই ব্যক্তি বলেন, ‘গত বছর জিতেছিলাম। আবারও আমি লটারি জিতলাম। আমার স্ত্রী বলেছিল, চলো আবার এই নম্বরেই লটারি খেলি। তার কথা শুনে লটারি খেলার পর আবার আমরা জিতেছি।’ আবারও ওই নম্বরে লটারি খেলবেন উল্লেখ করে ওই ব্যক্তি বলেন, লটারি জেতার অর্থে স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে যাবেন তিনি। তাদের ছুটি কাটাতে যাওয়া ভীষণ প্রয়োজন। মেরিল্যান্ড লটারির ওয়েবসাইট বলছে, মেরিল্যান্ড লটারির ‘পিক ৫’ গেমে ৫০ হাজার ডলার পুরস্কার জেতার সুযোগ এক লাখের মধ্যে একজনের।

লেখাটির পিডিএফ দেখতে চাইলে ক্লিক করুন:বিচিত্র

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

five + nine =