ঢাকা, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ (বাসস): তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন ও পরিচালনা প্রমাণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকার সাংবাদিকবান্ধব। তিনি আজ সোমবার বিকেলে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ডের ২৯তম সভায় এ কথা বলেন।
ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে সভায় সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যান মো. হুমাযুন কবীর খোন্দকার, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য সচিব সুভাষ চন্দ (বাদল), তথ্য অধিদফতরের প্রধান তথ্য অফিসার ও ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য মো. শাহেনুর মিয়া, অর্থ বিভাগের যুগ্মসচিব ও ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য মোহাম্মদ সাদেকুর রহমান, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ও ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য মো. কাউসার আহাম্মদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ওমর ফারুক, দৈনিক সংবাদ-এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ও ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য কাশেম হুমায়ুন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য সোহেল হায়দার চৌধুরী সভায় উপস্থিত ছিলেন।
মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, সরকারিভাবে সাংবাদিকদের জন্য অনেক কিছু করার প্রচেষ্টা বর্তমান সরকারের আছে। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের কল্যাণে ২৫ কোটি টাকা দিয়েছেন। তিনি আরও ১০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা বলেছেন। তারপরও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কিছু কিছু জায়গা থেকে কখনও কখনও অপপ্রচার করা হয়। প্রশ্ন তোলা হয়, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার সাংবাদিকতার জায়গা সংকুচিত, না প্রসারিত করছে। তিনি বলেন, অথচ সাংবাদিকদের কল্যাণের জন্য সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠনের এতো বড় উদ্যোগ প্রমাণ করে তিনি সাংবাদিকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী। তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকার যে সাংবাদিকবান্ধব সরকার কল্যাণ ট্রাস্ট গঠনের মাধ্যমে এটি প্রমাণ হয়। এ বিষয়গুলো আরও সামনে নিয়ে আসা দরকার জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে। তিনি বলেন, সাংবাদিক কণ্যাণ ট্রাস্টের কাজে পেশাদারিত্ব ও স্বচ্ছতা আছে। সাংবাদিকদের কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে সহযোগিতা দেওয়ার জন্য সাংবাদিক বেছে নেওয়ার প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ ও পেশাদারিত্বে সাথে যেনো হয়, সে বিষয়টি লক্ষ রাখা প্রয়োজন। বাছাইয়ের প্রতিটি স্তরে যেনো সাংবাদিকদের প্রতিনিধি থাকে সেটা নিশ্চিত করা হচ্ছে। কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ড থেকে আমরা পক্ষপাতহীন ও পেশাদারি সিদ্ধান্ত দিতে চাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে উদ্দেশ্যে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছেন, তার বাস্তবায়ন আমরা চাই। সত্যিকার অর্থে যেনো সাংবাদিকদের কল্যাণ কাজেই ট্রাস্টের অর্থ ব্যয় হয়, সেটিই আমাদের চাওয়া।
সভায় সাংবাদিকদের কল্যাণ অনুদান বরাদ্দের বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়ন সংক্রান্ত কমিটি গঠন করা হয় এবং কমিটিকে এক মাসের মধ্যে খসড়া নীতিমালা প্রণয়নের সময় দেওয়া হয়। এছাড়া দুস্থ, অস্বচ্ছল, দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ও মৃত সাংবাদিকদের মেধাবী সন্তানদের জরুরি শিক্ষাবৃত্তি প্রদানের ক্ষেত্রে অর্থ বরাদ্দের বিষয়ে আলোচনা হয়।