নিউ জিল্যান্ডকে বিপদে ফেলে সুপার এইটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ

শেরফানে রাদারফোর্ডের ঝড়ো হাফ-সেঞ্চুরি ও পেসার আলজারি জোসেফের বোলিং নৈপুণ্যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইট নিশ্চিত করেছে  স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ।  আজ সকালে ‘সি’ গ্রুপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৩ রানে হারিয়েছে নিউ জিল্যান্ডকে। ম্যাচ সেরা রাদারফোর্ড ৩৯ বলে অপরাজিত ৬৮ এবং জোসেফ ১৯ রানে ৪ উইকেট নেন।

এই জয়ে ৩ ম্যাচের সবগুলোতে জিতে পূর্ণ ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে থেকে সুপার এইট নিশ্চিত করলো দু’বারের চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকে বিশ্বকাপ শেষ করার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছে নিউ জিল্যান্ড। পাপুয়া গিনির বিপক্ষে কাল আফগানিস্তান জিতলেই, প্রথমবারের মত গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিবে নিউ জিল্যান্ড। ২ খেলায় ২ ম্যাচ হেরে এখনও পয়েন্টের দেখা পায়নি কিউইরা। ২ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয়স্থানে আফগানিস্তান।

ঘরের মাঠ ত্রিনিদাদে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নিউ জিল্যান্ডের পেসারদের তোপের মুখে পড়ে সপ্তম ওভারের মধ্যে দলীয়  ৩০ রানে ৫ উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্রান্ডন কিং ৯, জনসন চার্লস-রোস্টন চেজ শূণ্য, নিকোলাস পুরান ১৭ ও অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েল ১ রানে আউট হন।

লোয়ার অর্ডার ব্যাটারদের নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামলে উঠার চেষ্টা করেন ছয় নম্বরে নামা রাদারফোর্ড। ষষ্ঠ থেকে নবম উইকেটে ৮২ রান যোগ করে দলের রান ১৮ দশমিক ৫ ওভারে ৯ উইকেটে ১১২তে নেন রাদারফোর্ড। এসময় ২৭ বলে ৩১ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।

এরপর শেষ দুই ওভারে ঝড় তুলে দলকে ৩৭ রান উপহার দেন রাদারফোর্ড। ড্যারিল মিচেলের করা ১৯তম ওভারে ১৯ রান এবং মিচেল স্যান্টনারের করা ইনিংসের শেষ ওভারে ১৮ রান তুলে নেন রাদারফোর্ড। এতে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪৯ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৩০ বা তার নীচের স্কোরে ৫ উইকেট পতনের পর টি-টোয়েন্টিতে এটিই সর্বোচ্চ দলীয় রান।

২টি চার ও ৬টি ছক্কায় ৩৯ বলে সংক্ষিপ্ত ভার্সনে ক্যারিয়ার সেরা  অপরাজিত ৬৮ রান করেন রাদারফোর্ড।  টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ছয় বা তার নিচের ব্যাটিং অর্ডারে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানে এটি দ্বিতীয় ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে সেরা স্কোর। নিউজিল্যান্ডের ট্রেন্ট বোল্ট ৩টি, টিম সাউদি ও লুকি ফার্গুসন ২টি করে উইকেট নেন।

১৫০ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ২০ রানের সূচনার পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে নিউ জিল্যান্ড। ৬৩ রানে পঞ্চম উইকেট পতনে লড়াই থেকে ছিটকে পড়ে তারা। এসময় ডেভন কনওয়ে ৫, ফিন অ্যালেন ২৬, রাচিন রবীন্দ্র ১০, অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ১ ও ড্যারিল মিচেল ১২ রান করেন।

এরপর জেমস নিশাম ও মিচেল স্যান্টনারকে নিয়ে জুটি গড়ে নিউজিল্যান্ডকে লড়াইয়ে ফেরানোর চেষ্টা করেন গ্লেন ফিলিপস। দু’জনের সাথে জুটিতে ২২ ও ২৩ রানে বেশি তুলতে পারেননি ফিলিপস। ব্যাটাররা বড় ইনিংস খেলতে না পারায় ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৬ রানে থেমে ম্যাচ হারে নিউ জিল্যান্ড। ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩৩ বলে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন ফিলিপস। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জোসেফ ৪টি ও গুদাকেশ মোতি ৩ উইকেট নেন।

এ ম্যাচে ১৭ রানের ইনিংস খেলে টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের মালিক হয়েছেন পুরান। এতে ভেঙ্গে গেছে ক্রিস গেইলের রেকর্ড। পুরান ৯১ ম্যাচে করেছেন ১৯১৪ রান এবং গেইলের আছে ৭৯ ম্যাচে ১৮৯৯ রান।

বাসস

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

twenty − 6 =