সালেক সুফী
অস্বীকার করবো না বাংলাদেশে সুশাসনের অভাব প্রকট, দুর্নীতি হয়েছে সকল ক্ষেত্রে সকল পর্যায়ে। তবুও ভরসা আছে দুর্নীতির লাগাম টেনে সুশাসন নিশ্চিত করা সম্ভব হলে বাংলাদেশ কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে পারবে। তবে সরকারকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে চলতি জেহাদ আপোষহীনভাবে চালিয়ে যেতে হবে। সরকার এবং দল থেকে চিহ্নিত দুর্নীতিবাজদের ছেঁটে ফেলে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
আমার বাংলাদেশ সফরে ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে সাধারণ মানুষদের মাঝে প্রাণের জোয়ার দেখেছি। মেধাবী সৃজনশীল তরুণদের মাঝে দেশপ্রেম দেখেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নের বাধাগুলো অপসারণ করে দিলে আপনগতিতে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। তবে সকল পর্যায়ে সঠিক পেশাদারদের মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দিয়ে অবদান রাখার সুযোগ দিতে হবে।
বনানীতে ছিলাম এবার। সকালে প্রাতরাশ করতাম স্টার কাবাব রেস্টুরেন্টে। অনেক মেধাবী তরুণ তরুণীর সঙ্গে কথা হয়েছে। ওদের চোখে দেশপ্রেম দেখেছি, উন্নয়ন ক্ষুধা দেখেছি। জ্বালানি, বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর নতুন প্রজন্মকেও অনেক নিবেদিত মনে হয়েছে। শীর্ষ পর্যায়ে কিছু অদক্ষ দুর্নীতিপরায়ণ কর্মকর্তা আছে, আছে প্রশাসনিক জটিলতা। একই পরিস্থিতি অন্যান্য মন্ত্রণালয়ে।
সরকার প্রধান চেষ্টার ত্রুটি করছেন না। তার পাশে অন্তত ১০ জন দেশপ্রেমিক উপদেষ্টা থাকলে দেশ ২০৩০ নাগাদ উন্নয়নের সঠিক পথে এগিয়ে যাবে। দেখলাম ঢাকা বাইপাস, আশুলিয়া-ঢাকা টাঙ্গাইল সড়ক, শাহজালাল বিমানবন্দর তৃতীয় টার্মিনাল, মেট্রোরেল চলতি কাজ, ঢাকা-সিলেট ৬ লেন সড়ক নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলেছে।
পেট্রোবাংলা তৎপর হয়ে গ্যাস সেক্টরের পিছিয়ে পড়া কাজগুলো করছে। আমি আশুলিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, পদ্মা সেতু হয়ে সাতক্ষীরা, সুন্দরবন সফর করেছি। সাধারণ মানুষদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে আলোচনা করেছি। অনেক মেধাবী তরুণ বিদেশ থেকে ফিরে এসে গ্রামেগঞ্জে অনেক দেশ গঠনমূলক কাজ করছে। ওদের অবদানে ধীরে হলেও নীরব বিপ্লব সাধিত হচ্ছে। আমাকেও উদ্বুদ্ধ করছে দেশের হয়ে আরো নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত হতে।
আমি তাদের সাথে দ্বিমত পোষণ করি যারা বাংলাদেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিয়ে উদবিগ্ন। আশা করি মিডিয়ায় কথা না বাড়িয়ে প্রতিটি দেশপ্রেমিক মানুষ যেন দেশসেবায় নিজেদের সৃজনশীলতা কাজে লাগায়। তাহলেই সকল বাধা চূর্ণ করে এগিয়ে যাবে আমাদের বাংলাদেশ।