বন্যায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া ১০ লাখ ৯৭ হাজার গ্রাহকের মধ্যে ১ লাখ ৭৩ হাজার গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল হয়েছে। শনিবার (২৪ আগস্ট) বিকেল পর্যন্ত ৯ লাখ ২৪ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল বলে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির, ওই সমিতির সবগুলো (১৭টি) উপকেন্দ্র বন্ধ রয়েছে। ১০৭টি গ্রিড লাইনের মধ্যে মাত্র ১টি সচল রয়েছে, যার মাধ্যমে মাত্র ৫০০ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল রয়েছে। ফেনী পল্লী সমিতিতে ৪ লাখ ৪২ হাজার ৪৬ জন গ্রাহক রয়েছে। পরিবার প্রতি ৪ জন করে ধরা হলেও প্রায় ৪০ লাখ লোক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছেন।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, বন্যাকবলিত এলাকায় দুর্ঘটনা এড়াতে বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরি করা হয়েছে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুতগতিতে বিদ্যুৎ লাইন চালু করা হবে।
ফেনীর পর বেশি ক্ষতি শিকার হয়েছে নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির, ওই সমিতির কিছু লাইন ইতোমধ্যে চালু করা হয়েছে। ২৪ আগস্ট বিকেল পর্যন্ত ২ লাখ ১৮ হাজার ৫০০ গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল। বন্যায় ২ লাখ ৫৫ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন।
এছাড়া কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর ১ লাখ ৩২ হাজার গ্রাহক, চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ এর ৭০ হাজার গ্রাহক, চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ লক্ষীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৪, চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১, কক্সবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মৌলভীবাজার সমিতির কিছু এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলোর ৭১৯টি খুটি, ৩২৮ ট্রান্সফরমার ও ৭ হাজার ৪৯৯টি মিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অতীত রেকর্ড থেকে দেখা গেছে যাদের মিটার ক্ষতিগ্রস্ত তাদের বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে বেশ বেগ পেতে হয়। ওই গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল হলে বেশ সময় লাগতে পারে।
পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বন্যা কমে গেলে দ্রুত সেবা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় মালামাল ও জনবল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ফেনী সমিতির ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করা সম্ভব হয়নি, অন্যদের প্রায় ৮ কোটি টাকার মতো আর্থিক ক্ষতি হয়েছে জানা গেছে।
অন্যদিকে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় প্রায় ৯০ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। সংস্থাটির ৪৪টি খুটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্ন হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
বার্তা২৪