নজিরবিহীন হামলার শিকার হওয়ার পর ইরান পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ইসরায়েলি ভূখণ্ডের দিকে ‘প্রায় ১০০টি ড্রোন’ পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
আইডিএফ এর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফি ডেফরিনের বরাত দিয়ে বিবিসি লিখেছে, ইসরায়েলি বাহিনী ড্রোনগুলো ভূপাতিত করতে কাজ করছে।
শুক্রবার স্থানীয় সময় ভোররাত ৪টার পর ইরানের বিভিন্ন পারমাণবিক স্থাপনা, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কারখানা এবং সামরিক কমান্ডারদের অবস্থান লক্ষ্য করে ইসরায়েলের হামলা শুরু হয়।
তেল আবিব বলছে, তেহরান যাতে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে একটি দীর্ঘমেয়াদি অভিযানের শুরু হিসেবে এই হামলা চালাল তাদের সামরিক বাহিনী। এ অভিযানের নাম তারা দিয়েছে ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ ।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক ভিডিও বার্তায় বলেন, “আমাদের এই সামরিক অভিযানের লক্ষ্য ইরানি হুমকি প্রতিরোধ করা। যতদিন না এই হুমকি বন্ধ হচ্ছে, ততদিন এ অভিযান চলবে।”
হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি, ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর কমান্ডার ইন চিফ জেনারেল হোসেইন সালামি, খাতাম আল-আনবিয়া সেন্ট্রাল হেডকোয়ার্টার্সের কমান্ডার গোলামালি রাশিদসহ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।
এছাড়া ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থার সাবেক প্রধান ও পারমাণবিক বিজ্ঞানী ফেরেয়দুন আব্বাসি এবং পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচিতে যুক্ত আরেক বিজ্ঞানী মোহাম্মদ মাহদি তেহরানচির নিহত হওয়ার খবর রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়েছে।
ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি এই হামলার পর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, “এই হামলার মাধ্যমে ইসরায়েল নিজেই নিজের জন্য একটি করুণ পরিণতির পথ তৈরি করেছে, যার ফলাফল তারা নিশ্চিতভাবে ভোগ করবে।”