কোক স্টুডিও বাংলায় তুহীন গাইলেন মহীনের ঘোড়াগুলির গান

কোক স্টুডিও বাংলার তৃতীয় সিজনের সপ্তম গান হিসেবে মুক্তি পেয়েছে ‘ক্যাফে’। শিরোনামহীন ও পরবর্তী সময়ে আভাস ব্যান্ডের গায়ক হিসেবে পরিচিতি পাওয়া তানযীর তুহীনকে এবারই প্রথম পাওয়া গেল কোক স্টুডিও বাংলায়। এ মঞ্চে তাকে পেয়ে শ্রোতারা যে কতটা খুশি, তা বোঝা গেছে গানটির ঘোষণা দেওয়ার পরপরই।

ভারতের প্রথম বাংলা রক ব্যান্ড মহীনের ঘোড়াগুলি। ১৯৭৬ সালে একদল তরুণ সিদ্ধান্ত নেন, নিজেরা গান লিখবেন, গাইবেন, সুর করবেন, বাজাবেন। পরবর্তী সময়ে আধুনিক বাংলা গানের সংজ্ঞা বদলে দিয়েছিল মহীনের ঘোড়াগুলি। অনেক কালজয়ী গান উপহার দিয়েছে ব্যান্ডটি। এ ব্যান্ডের অন্যতম জনপ্রিয় গান ‘আমার প্রিয়া ক্যাফে’।

১৯৯৬ সালে প্রকাশিত ব্যান্ডটির ‘ঝরা সময়ের গান’ অ্যালবামে ছিল এই গান। পরবর্তী সময়ে ‘কিছু সংলাপ কিছু প্রলাপ’ সিনেমাতেও ব্যবহৃত হয়েছিল গানটি। এবার কোক স্টুডিও বাংলায় মহীনের ঘোড়াগুলি ব্যান্ডের জনপ্রিয় এই গান কণ্ঠে তুললেন তানযীর তুহীন। গতকাল কোক স্টুডিও বাংলায় প্রকাশ পেয়েছে ‘ক্যাফে’ গানটি।

একটি সাধারণ ক্যাফে নিয়েই এই গান। ক্যাফে এমন একটি জায়গা যেখানে মানুষের অতি সাধারণ দিনটিও গল্পে পরিণত হয়। সময় যেন থমকে যায়, কণ্ঠস্বর নিচু হয়ে আসে আর প্রতিটি টেবিল বলতে থাকে নিজেদের গল্প। কারও প্রথম দেখা, কারও শেষ বিদায়। মানুষ আসে, আবার চলেও যায়, তবু কী যেন সব সময় থেকে যায়। এই অনন্ত নীরবতার মাঝেই জন্ম নিয়েছিল আমার প্রিয়া ক্যাফে। কথা ও সুর করার পাশাপাশি গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছিলেন মহীনের ঘোড়াগুলি ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা গৌতম চট্টোপাধ্যায়। আমেরিকান লাতিন জাজ মিউজিক কম্পোজার এডি পামিয়েরির ‘ক্যাফে’ গানটি অবলম্বনে এই গান লিখেছিলেন তিনি।

নতুন করে গানটির সংগীত আয়োজন করেছেন শুভেন্দু দাস। নতুন সংগীতায়োজনে স্থান পেয়েছে আফ্রো-কিউবান জ্যাজ, লাতিন সালসা ও বাংলা পঙক্তি। গানটিতে তানযীর তুহীনের সঙ্গী হয়েছেন ব্রাজিলিয়ান শিল্পী লিভিয়া মাতোস এবং পশ্চিমবঙ্গের গৌরব চ্যাটার্জি। একাধিক সংস্কৃতির মিশ্রণে তারা সবাই মিলে সৃষ্টি করেছেন প্রাণবন্ত এক সংগীত, যেখানে উদ্‌যাপিত হয়েছে ঐতিহ্য, আবেগ ও বৈশ্বিক সুরের মেলবন্ধন।

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

12 + 19 =