গ্রুপ অফ এইটে বাংলাদেশের অগ্নিপরীক্ষা

সালেক সুফী

ধীর, নিচু, অসম বাউন্সের চেনা পরিবেশে প্রথম রাউন্ডে দারুনভাবে মানিয়ে নেওয়া বাংলাদেশ দাপটের সঙ্গেই জিতেছে বাংলাদেশ। কাল সকালে বাংলাদেশের মানুষ ঘুম ভেঙেই দেখবে এন্টিগা দ্বীপ দেশের স্যার আইজাক ভিভিয়ান আলেক্সান্ডার রিচার্ডস পয়মন্ত  স্টেডিয়ামের মুখোমুখি লড়াই করছে আমাদের ক্যাঙ্গারু বাহিনীর সঙ্গে আমার টাইগার বাহিনী।

উইকেট একচেটিয়া বোলার সহায়ক না হয়ে ব্যাটসম্যানদেরও স্ট্রোকস খেলতে উৎসাহিত করবে। টুর্নামেন্ট জুড়ে দুর্ধর্ষ ফর্মে আছে অস্ট্রেলিয়া। গ্রুপ পর্যায়ে কোন খেলায় পরীক্ষিত হয়নি।  অন্যদিকে বাংলাদেশ দুর্বল টপ অর্ডার এবং অনিশ্চিত  অর্ডার ব্যাটিং নিয়েও তাসকিন-তানজিম-মুস্তাফিজ এবং বিশেষত রিশাদ হোসেনের বিশ্বমানের বোলিং দিয়ে ম্যাচ জিতেছে।

কাল ম্যাচ থেকে কিছু অর্জন করতে হলে বাংলাদেশকে দুরন্ত প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে চোখে চোখ রেখে ক্রিকেট খেলতে হবে। অস্ট্রেলিয়া কিন্তু চাইবে শুরু থেকেই স্বভাব সুলভ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে বাংলাদেশকে কোণঠাসা করতে। বাংলাদেশকেও ইটের জবাব পাটকেল দিয়ে দিতে হবে।

অস্ট্রেলিয়া কিন্তু পেস বল খেলায় স্বচ্ছন্দ। হয়ত শুরুতে তাসকিন-তানজিম এবং শেষদিকে মুস্তাফিজ সুবিধা পাবে। বাংলাদেশকে স্পিন দিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে ঘায়েল করতে হবে। এই ক্ষেত্রে সাকিব, রিশাদের বড় ভূমিকা রাখতে হবে। টিম ব্যবস্থাপনা জাকের অনিকের স্থানে শেখ মেহেদীকে খেলানোর কথা ভাবতে পারে।

অনিক কিন্তু লেট অর্ডারে চাহিদা মাফিক ব্যাট করতে পারছে না। কার্যকরী অফস্পিন ছাড়াও মেহেদীকে প্রয়োজন মাফিক পিঞ্চ হিটার হিসেবেও ব্যাবহারের সুযোগ আছে। টপ অর্ডারকে জ্বলে উঠতেই হবে। প্রথম চার জনের অন্তত একজনকে ১৫ ওভার বা তারও বেশি উইকেটে থেকে ব্যাটিং আগলে রাখতে হবে।

স্টার্ক, কামিন্স, হেজেলউডকে সামাল দিতে পারলে বাংলাদেশ ১৭০-১৮০ রান করে অস্ট্রেলিয়াকে চেপে ধরতে পারবে। চ্যালেঞ্জ হলো ট্রাভিস হেড, ডেভিড ওয়ার্নার, মিচেল মার্শ এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে উড়তে না দেওয়া। কাজটি দারুন কঠিন কিন্তু অসম্ভব না।

যাই করুক বাংলাদেশ, চাইবো যেন ক্যাঙ্গারুর থাবায় থমকে না যায় রয়েল বেঙ্গল টাইগার।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

seventeen − 16 =