উপমহাদেশে যতবার প্রেমের উপাখ্যান লেখা হয়েছে, সেসবে অন্তত একবার হলেও উল্লেখ করা হয়েছে তাজমহলের নাম। স্ত্রী মমতাজ বেগমের প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন স্বরূপ স্থাপনাটি নির্মাণ করেছিলেন মুঘল সম্রাট শাহজাহান। যা আজও পৃথিবীর বুকে প্রেমের বার্তা দিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তাজমহল দেখতে ছুটে আসেন পর্যটকরা। চলুন জেনে নেই তাজমহল সম্পর্কে। রঙবেরঙ ডেস্ক
শাহজাহানের দ্বিতীয় স্ত্রী মমতাজ
মুঘল সম্রাট শাহজাহানের দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন আরজুমান্দ বানু বেগম। ডাক নাম ছিল মমতাজ মহল। কথিত আছে জীবদ্দশায় স্ত্রীর প্রতি আন্তরিক ছিলেন না সম্রাট। উল্টো তাকে বানিয়েছিলেন সন্তান উৎপাদনের যন্ত্র। সম্রাটের সাথে ১৭ বছরের দাম্পত্য জীবনে ১৪ জন সন্তান প্রসব করেন তিনি। অতিরিক্ত গর্ভধারণই কাল হয়েছিল। স্বাস্থ্যও ভেঙে গিয়েছিল। শেষবার আর ধকল সামলাতে পারেননি। ১৬৩১ সালে ১৪তম কন্যা গহরজানের জন্মের সময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৩৯ বছর। জীবদ্দশায় ভালোবাসার ঘাটতি থাকলেও মমতাজের অকালে চলে যাওয়া মানতে পারেননি সম্রাট। বেশ ভেঙে পড়েন তিনি। শোনা যায় স্ত্রীর মৃত্যুর পর বিরহ কাতর হয়ে টানা দুই বছর শোক পালন করেন তিনি। এই অল্প সময়ের ব্যবধানে চুল-দাড়ি সব সাদা হয়ে যায় তার।
যেভাবে নির্মাণ শুরু
মৃত্যুর পর মমতাজের মরদেহ আগ্রায় বৈজ্ঞানিক উপায়ে সংরক্ষণ করা হয়। তবে তা ছিল প্রাসাদ থেকে দূরে। এতে সন্তুষ্ট ছিলেন না সম্রাট। চাইছিলেন স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন স্বরুপ এমন কিছু করতে যা হবে সত্যি দেখার মতো। ওই ভাবনা থেকে ১৬৩২ সালে শুরু করেন দৃষ্টিনন্দন তাজমহল তৈরির কাজ। বিশ্বের বড় বড় কারিগর ও নকশাকারের শরণপন্ন হন শাহজাহান। এই স্থাপনার নকশা করতে এক হন সে সময়ের সবচেয়ে নিখুঁত, পারদর্শী, উচ্চ পর্যায়ের প্রকৌশলী ও নকশাকার ওস্তাদ আহমেদ লাহুরি, আবদুল করিম মামুর খান এবং মাকরামাত খান। তাদের নকশার ভিত্তিতে শুরু হয় নির্মাণ কাজ। সে ছিল এক মহা কর্মযজ্ঞ। এই নকশা প্রথম কাঠের ছাঁচে তৈরি করা হয়। এরপর তাজমহল নির্মাণে দেশ-বিদেশের ১৫ জন নির্মাণবিদ নিয়ে আসা হয়।
মহা কর্মযজ্ঞ
প্রায় তিন একর জায়গা জুড়ে সে ছিল এক মহা কর্মযজ্ঞ। যমুনার তীর ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে তাজমহল। এ স্থাপনার ভিত্তি স্থাপনের আগে উত্তর ভারতের অন্যতম প্রধান এ নদী শাসনের ব্যবস্থা করতে হয় সম্রাটকে। ক্ষরণ কমাতে প্রায় তিন একর জায়গাজুড়ে মাটি আলগা করা হয়। এরপর মাটি ফেলে জায়গাটিকে যমুনার ধরাছোঁয়ার বাইরে নিতে পাড় থেকে প্রায় ৫০ মিটার উঁচু করা হয়। এছাড়া সমাধির আশেপাশে মাটি খুঁড়লেই যেন পানি চলে না আসে সেজন্য প্রথমে একটি কূপ খনন করে পাথর দিয়ে ভরাট করা হয়। তারপর করা হয় সমাধির ভিত্তিপ্রস্তর। তাজমহল নির্মাণ করা হয়েছে কয়েকটি ধাপে। ভিত্তিপ্রস্তর, সমাধি, গম্বুজ, মিনার ও চূড়া। ভিত্তি স্থাপনের পর নির্মাণ করা হয় সমাধি। এই দুটি ধাপ নির্মাণেই লেগে যায় এক যুগ। ১৯৪৩ সালে সমাধি নির্মাণ শেষ হলে হাত দেওয়া হয় বাকি কাজে। যা শেষ করতে লেগে যায় আরও এক দশক।
সমাধি
ভিত্তিপ্রস্তরের ওপর সাদা মার্বেল পাথরের সমাধিটি তাজমহলের মূল অংশ। এটি মুঘলদের অন্যান্য সমাধির আদলে তৈরি। এতে রয়েছে ধনুকাকৃতির একটি দরজা আর তার ওপর একটি বড় গম্বুজ। সমাধিটি যে বেদির ওপর দাঁড়িয়ে আছে সেটি বর্গাকৃতির। শাজাহান ও মমতাজ মহলের সমাধির ওপর তলা কয়েকটি কক্ষ বিশিষ্ট। এর প্রধান কক্ষে রয়েছে মমতাজ ও শাহজাহানের স্মৃতিফলক।
গম্বুজ
তাজমহলের সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশ এর গম্বুজ। সমাধির ওপরের এই অংশটি মার্বেল পাথরে নির্মিত। ৩৫ মিটার গম্বুজটি সরাসরি সমাধির ওপর বসানো হয়নি। রাখা হয়েছে ৭ মিটার উচ্চতার সিলিন্ডার আকৃতির ড্রামের ওপর। গম্বুজটি দেখতে অনেকটা পেঁয়াজের মতো। সেকারণে একে অনেকে পেঁয়াজ গম্বুজ বলেও ডেকে থাকেন। গম্বুজের ওপরের অংশ সাজানো হয়েছে পদ্ম ফুলের নকশায়। এছাড়া গম্বুজের ওপর তামা-কাঁসার একটি দণ্ড রয়েছে। এটি মূলত পারস্য ও হিন্দু সংস্কৃতির ঐতিহ্য বহন করে থাকে। বড় গম্বুজটি সবার আগে নজর কাড়লেও আরও একাধিক গম্বুজ রয়েছে তাজমহলে। দাঁড়িয়ে থাকা বর্গাকৃতির সমাধির চার কোনায় চারটি ছোট গম্বুজ দাঁড়ানো। এগুলোর প্রত্যেকটির মাথায় বড় গম্বুজের মতোই পদ্মফুল ও তামা-কাঁসার দণ্ড রয়েছে।
চূড়া
গম্বুজই তাজমহলের শেষাংশ না। এর ওপর রয়েছে চূড়ার মতো একটি অংশ। ১৮০০ শতকের আগে এটি স্বর্ণ নির্মিত ছিল, কিন্তু বর্তমানে এটি ব্রোঞ্জ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এখানে রয়েছে একটি চাঁদ ও শিংয়ের আকৃতি। হিন্দু-মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ই চূড়াটি নিজ নিজ ধর্মমতে সম্মান করে। মুসলিম মতে চাঁদটি ইসলামিক উপাদান আর শিং দ্বারা বোঝানো হয়েছে বেহেশতের দিকে তাক করা। অন্যদিকে হিন্দুদের মতে এটি শিবের চিহ্ন।
চাহার বাগ
তাজমহলের বাগানটি চাহার বাগ নামে পরিচিত। এটি মুঘলদের ঐতিহ্যবাহী বাগান যার সূচনা হয়েছিল সম্রাট বাবরের হাত ধরে। এই বাগানের মাঝখানে উঁচু মার্বেল পাথরের একটি চৌবাচ্চা বসানো আছে। এটি সরলরৈখিক হওয়ায় পানিতে তাজমহলের প্রতিফলন পড়ে। এছাড়া এখানে আরও গাছপালা ঘেরা বেশ কয়েকটি রাস্তা ও ঝরনা আছে। বাগানটির নকশা করেছিলেন প্রকৌশলী আলি মারদান। তবে শেষ পর্যন্ত মোঘলদের আদলে থাকেনি বাগানটি। ইংরেজ শাসনামলে তাজমহলের ভার পড়ে ব্রিটিশদের ওপর। সেসময় এটি পায় লন্ডনের বাগানের চেহারা।
মহামূল্যবান পাথরে নির্মিত
তাজমহল নির্মাণ করা হয়েছে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংগ্রহ করা মহামূল্যবান সব পাথরে। সেগুলো সংগ্রহ করতে গিয়ে ঘুম হারাম হয়ে গিয়েছিল সম্রাটের লোকজনের। এর গায়ে যে সাদা মার্বেল পাথর বসান আছে সেগুলো আনা হয়েছিল জয়পুরের মাকরানা আর রাইওয়ালা থেকে। ফতেপুর সিক্রি থেকে আনা হয়েছিল লাল বেলে পাথর। অতি আশ্চর্য ও চোখ জুড়ানো এই স্থাপনা নির্মাণে লেগেছে ১৭ হাজার মণ পাথর। এসব সংগ্রহ করা হয় বাগদাদ, ইয়ামেন, গ্রান্ড তিব্বত, সিংহল, কানাডা, দক্ষিণ ভারত, মিশরের নীল নদ, গঙ্গা, গোয়ালিয়র, পারস্য, কুমায়ুন, মহারাষ্ট্র, জেহেরী, মাকরান, খামাচ, বিন্ধ্যাচল পর্বত, জব্বলপুর, রাজস্থান, হিমাচল থেকে সমতল ও বর্তমান বাংলাদেশের সন্দীপ, মহেশখালী দ্বীপ থেকে। এইসব সামগ্রী পরিবহনে ১০০০ হাতি কাজে লাগানো হয়েছিল।
সৌন্দর্য বর্ধনে ত্রুটি রাখেননি সম্রাট
তাজমহলের সৌন্দর্য বর্ধনে কোনো ত্রুটি রাখেননি সম্রাট। নান্দনিক করে তুলতে একে মুড়ে দিয়েছেন হিরা, চুনি, পান্নাসহ বিভিন্ন মহা মূল্যবান মণি মানিক্যে। তাজমহলে মহা মূল্যবান চুনি পাথর ছিল ৬০ মণ। পান্না ছিল ১০০ মণ। এতে নীলকান্ত ও উজ্জ্বল মণি রয়েছে যথাক্রমে ১৬০ ও ১৮০ মণ। ১৮০ ফুট উচ্চতার গোটা তাজমহল জুড়ে রয়েছে ৯০ মণ ফিরোজা রঙের মণি এবং ৯৯০ মণ গোয়ালিয়র পাথর। এতে উজ্জ্বল দ্যুতিময় পাথর ৮০ মণ এবং একই পরিমাণে চুম্বক লোহার আকর রয়েছে। এছাড়া আরও ২৩০ মণ মহা মূল্যবান মণিও রয়েছে। সেইসঙ্গে ছিল আনুমানিক ২০০ মণ নিখাদ সোনার বার। আর স্থাপনাটিজুড়ে বিভিন্ন মণি মানিক্যের এমন বাহারি ব্যবহারের কথা শুনেই বোঝা যায় আজ থেকে ৩৬০ বছর আগে নির্মিত নিদর্শনটি সৌন্দর্যমণ্ডিত করে তুলতে বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি সম্রাট শাহজাহান।
জমিটি সম্রাটের ছিল না
আগ্রার দক্ষিণে যে জমির ওপর তাজমহল দাঁড়িয়ে আছে এটির মালিক ছিলেন মহারাজা জয় শিং। তাকে মধ্য আগ্রায় একটি বিশাল প্রাসাদ দেওয়ার বদলে জমিটি নেন সম্রাট। এরপরই শুরু হয় মহা কর্মযজ্ঞ।
কত খরচ হয়েছিল নির্মাণে
সাড়ে তিন শ বছর আগের কথা। তাই তাজমহল নির্মাণে খরচ সম্পর্কে বলা কঠিন। এছাড়া আনুষাঙ্গিক কিছু কারণে খরচের হিসাবেও দেখা যায় হেরফের। তবে ধারণা করা হয় তাজমহল নির্মাণে সবমিলিয়ে খরচ হয়েছিল ৩২ মিলিয়ন রুপি।
ঘুমিয়ে আছেন যারা
তাজমহলের পুরো এলাকাটি তিন দিক থেকে দেয়াল দিয়ে ঘেরা। তবে নদীর দিকটা রাখা হয়েছে খোলা। এখানে শুধু মমতাজের সমাধি নয় আরও কয়েকটি সমাধি রয়েছে। মমতাজ মহলের ভেতরে সমাধিস্থ হলেও শাহজাহানের অন্য স্ত্রীদের সমাধিস্থ করা হয়েছে পাচিলের বাইরে। তাদের সঙ্গে ঘুমিয়ে আছেন মমতাজের প্রিয় দাসীও।
বন্দি সম্রাট জানালা দিয়ে দেখতেন
১৬৫৩ সালে তাজমহলের নির্মাণ কাজ শেষ হতেই দুঃসময় নেমে আসে সম্রাটের জীবনে। ছেলে আরঙ্গজেবের হাতে বন্দি হন। এরপর থেকে মৃত্যুর শেষ দিনটি পর্যন্ত বন্দি ছিলেন। সেসময় আগ্রার কেল্লায় বন্দি সম্রাট জানালা দিয়ে সারাক্ষণ তাকিয়ে থাকতেন প্রিয় নির্মাণের দিকে। ১৬৬৬ সালে মারা গেলে তাজমহলে মমতাজের পাশেই সমাধিস্থ করা হয়।
পর্যটকদের প্রিয় স্থান
শুরু থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে তাজমহল পরিদর্শন করতে আসেন পর্যটকরা। হিসেব করলে দেখা যায় বছরে ভালোবাসার এই নিদর্শন চোখের দেখা দেখতে ২ থেকে ৩ মিলিয়ন লোক আসে। এরমধ্যে ২ মিলিয়ন পর্যটক আসে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। পর্যটকদের ভিড় বেশি থাকে অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তাজমহলের সুবিধা অসুবিধা নিয়েও সচেতন ভারত সরকার। এমনকি বায়ু দূষণ করে এমন যানবাহনও এর ধারে কাছে ভিড়তে দেয় না। ফলে একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে বৈদ্যুতিক বাসে করে স্থাপনাটির কাছে পৌঁছাতে হয়। তাজমহল বিনামূল্যে দেখার কোনো সুযোগ নেই। চিরঘুমে থাকা মমতাজকে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা এ স্থাপনা দেখতে নির্ধারিত মূল্য চুকিয়ে টিকিট কেটে তবেই ঢুকতে হয়। তবে দেশ ভিত্তিতে টিকিটের দামে তারতম্য রয়েছে। বিদেশি পর্যটকদের গুনতে হয় ১০০০ রুপি। তবে সার্কভুক্ত দেশের নাগরিকদের জন্য প্রবেশ মূল্যে ৫৩০ টাকা। ভারতীয়দের নামেমাত্র অর্থ গুনতে হয়। মাত্র ৪৫ টাকার বিনিময়েই তাজমহল দেখতে পারেন তারা।
পর্যটকদের জন্য তাজগঞ্জ
তাজমহল দেখতে গিয়ে পর্যটকদের যেন থাকা খাওয়ার বন্দোবস্ত করতে গিয়ে বিপাকে পড়তে না হয় সেদিকটাও নজরে রাখা হয়েছে। তাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে মহলের দক্ষিণে গড়ে উঠেছে ছোট শহর তাজগঞ্জি বা মমতাজবাদ। এখানে পর্যটকদের থাকা খাওয়ার সব ব্যবস্থা রয়েছে।
প্রচলিত যে কথাগুলো মিথ্যা
তাজমহল ঘিরে একটি মিথ চালু রয়েছে। সম্রাট শাহজাহান নাকি যমুনার ওপারে কালো রঙের একটি তাজমহল বানাতে চেয়েছিলেন। তবে মিথটি একেবারেই ভিত্তিহীন। তাজমহলকে নিয়ে প্রচলিত আছে একটি নির্মম গল্প। তা হলো এ ধরনের স্থাপনা যেন দ্বিতীয়টি আর না তৈরি হয় সেজন্য শ্রমিকদের হাত কেটে দিয়েছিলেন সম্রাট। গল্পটি শুনে আজও স্তব্ধ হয়ে সম্রাটের ওপর ক্ষোভ ঝাড়েন অনেকে। তবে তা একেবারেই অযৌক্তিক। কেননা একটি ভ্রান্ত গল্প। এরকম কোনো ঘটনাই ঘটেনি সেসময়।
২০০০ সালে ভারতের এক লেখক আরও একটি উদ্ভট দাবি তুলেছিলেন। তার বয়ান ছিল তাজমহল মূলত একটি শিবমন্দির। আর সেটি প্রমাণ করতে আদালতের শরণাপন্নও হয়েছিলেন। তাজমহলের কয়েটি জায়গা খননের জন্য আদালতে পর্যন্ত গিয়েছিলেন। তবে আদালত কানে তোলেননি তার দাবি। তার দাখিল করা পিটিশন খারিজ করে দিয়েছিল। ভারতের বিজেপি নেতাদের অনেকেই এই ধারণা পোষণ করেন।
কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাজমহলকে দিয়েছিলেন বিশেষ নাম। তিনি ডাকতেন ‘কালের গালে অশ্রুবিন্দু’ বলে। মমতাজের সমাধিস্থলের ওপর নির্মিত এই সৌধের রঙ দিনের বিভিন্ন সময় বদলায়। এতে অনেকে মনে করেন রঙের বদল দিয়ে বিভিন্ন সময়ে নারীর মেজাজ পরিবর্তনকে বোঝানো হয়েছে।
নির্মাণ শৈলী
মুঘল স্থাপত্যশৈলীর অন্যতম নিদর্শন তাজমহল। এর নির্মাণশৈলীতে রয়েছে পারস্য, তুরস্ক, ভারতীয় ও ইসলামী স্থাপত্যশিল্পের সম্মিলন। তবে পর্যটকদের সবচেয়ে বেশি টানে সাদা মার্বেল পাথরে আচ্ছাদিত সমাধিটি। ১৯৮৩ সালে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে তালিকাভুক্ত করে তাজমহলকে। এটি বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের অন্যতম হিসেবে স্বীকৃতি পায় ২০০৭ সালে। ১০ কোটি ভোট পেয়ে এই স্থান দখল করে স্থাপনাটি।
লেখাটির পিডিএফ দেখতে চাইলে ক্লিক করুন: কোথায় কি