কথাশিল্পী শওকত ওসমানের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

কথাশিল্পী শওকত ওসমানের মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৯৮ সালের ১৪ মে কথাশিল্পী শওকত ওসমান মস্তিষ্কের সেরিব্রাল অ্যাটাকে অসুস্থ হয়ে চিকিৎসারত অবস্থায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার জন্ম পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলার সবল সিংহপুর গ্রামে।

শওকত ওসমানের পিতৃপ্রদত্ত নাম ছিল শেখ আজিজুর রহমান। পরে তিনি ছদ্মনাম গ্রহণ করেন শওকত ওসমান। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের সময় তিনি স্বেচ্ছায় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের চট্টগ্রামের সরকারি কমার্স কলেজে যোগদান করেন। পরবর্তীকালে ১৯৫৯ সালে ঢাকা কলেজে বদলি হন এবং ১৯৭২ সালের ১ এপ্রিল স্বেচ্ছা অবসর গ্রহণ করেন।

তিনি ছোটগল্প, উপন্যাস, কবিতা, নাটক, প্রবন্ধ, শিশুসাহিত্য, অনুবাদ সাহিত্যসহ প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে অবাধ বিচরণ করেছেন। কথাশিল্পী শওকত ওসমানের উল্লেখযোগ্য উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে- জননী, ক্রীতদাসের হাসি, ঈশ্বরের প্রতিদ্বন্দ্বী, জাহান্নাম হইতে বিদায়, দুই সৈনিক, ওটেন সাহেবের বাংলো, বনি আদম, পঞ্চসঙ্গী। এর মধ্যে ‘জননী’ ও ‘ক্রীতদাসের হাসি’ ধ্রুপদী সাহিত্যের পদমর্যাদা অর্জন করেছে।

তার সাহিত্য কর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি পেয়েছেন নাসিরউদ্দীন স্বর্ণ পদক, আদমজী, মুক্তধারা, ফিলিপস সাহিত্য, বাংলা একাডেমি, একুশে পদক, স্বাধীনতা দিবস ও টেনাশিস্ পুরস্কার। প্রখ্যাত সাংবাদিক সন্তোষ গুপ্ত কথাশিল্পী শওকত ওসমানকে বাংলার গোর্কি বলে চিহ্নিত করেন। কারণ কথাশিল্পী শওকত ওসমান আজীবন তার লেখনীর মাধ্যমে নিপীড়িত জনগণের কথা বলেছেন। আর সর্বদা স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেছেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

ten − seven =