নিলামে ‘টাইটানিক’ সিনেমার রোজের সেই ওভারকোট

রোজ তথা কেট উইন্সলেটের পরনে গোলাপী রঙের ওভারকোট। ফ্লোর পর্যন্ত দীর্ঘ এই ওলের ওভারকোটে কালো রঙের এমব্রয়ডারি করা। তার চোখে-মুখে লেগে আছে ভয়। টাইটানিক জাহাজের ভেতরে হাঁটু পানি মারিয়ে খুঁজছেন জ্যাক তথা লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওকে। এক পর্যায়ে বুক পানিতে পড়েন রোজ। তখন পরনের ওভারকোটটি খুলে ফেলেন তিনি।

‘টাইটানিক’ সিনেমার এ দৃশ্য কারো ভোলার কথা নয়। ভুলে যাওয়ার কথা নয় রোজের পরনের ওভারকোটটিও। রোজের সেই ওভারকোটটি নিলামে উঠেছে। গত ১১ আগস্ট পর্যন্ত যার দাম উঠেছে ৩৪ হাজার মার্কিন ডলার। নিউ ইয়র্ক পোস্ট এ খবর প্রকাশ করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির নিলামকারী সংস্থা গোল্ডিন অনলাইনে এই নিলাম পরিচালনা করছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও কেন গোল্ডিন সংবাদমাধ্যমটিকে বলেন— ‘ওভারকোটটির দাম ১ লাখ মার্কিন ডলারের বেশি হবে।’

গত শুক্রবার পর্যন্ত পাঁচজন এ নিলামে অংশ নিয়েছেন। সর্বোচ্চ দাম উঠেছে ৩৪ হাজার মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৭ লাখ ৩১ হাজার টাকার বেশি)। আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ নিলাম চলবে। যে বেশি দাম দিতে পারবেন, তারই সংগ্রহে যাবে এই ওভারকোট।

নিউ ইয়র্ক পোস্ট জানিয়েছে, ১৯৯৮ সালে প্রোডাকশন কোম্পানি ‘টাইটানিক’ সিনেমার প্রপস বিক্রি করে দেয়। যার মধ্যে নিলামে ওঠা কোটটিও রয়েছে। ডেবোরা লিন স্কটের ডিজাইনের উপর ভিত্তি করে এটি প্রস্তুত করেছিল জে. পিটারম্যান কোম্পানি। সর্বশেষ যে ব্যক্তি কোটটি কিনেছিলেন তিনি নিলামকারী সংস্থা গোল্ডিনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

নিলামকারী সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও কেন গোল্ডিন এ বিষয়ে বলেন, ‘প্রথম ব্যক্তি কোটটি কিনে কয়েক বছর তার নিজের কাছে রেখেছিলেন। ২০০০ সালে এটি আরেকজনের কাছে বিক্রি করে দেন তিনি। বছর খানিক আগে যে ব্যক্তি এটি কেনেন তিনি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।’

এই কোটটি যে ‘টাইটানিক’ সিনেমায় ব্যবহার করা হয়েছিল, তার প্রমাণ স্বরূপ সিনেমাটির প্রোডাকশন কোম্পানি এবং প্রস্তুতকারী কোম্পানি থেকে লিখিত কাগজ নিলামকারী প্রতিষ্ঠানটিকে দিয়েছেন। তারপর নিলামকারী প্রতিষ্ঠান এটি ফের যাচাই করে নিলামে তুলেছে।

জেমস ক্যামেরন নির্মিত সবচেয়ে আলোচিত, বিখ্যাত আর নজরকাড়া সিনেমাগুলোর অন্যতম ‘টাইটানিক’। ব্যয়বহুল এ সিনেমা ১৯৯৭ সালে মুক্তি পায়। সিনেমাটির মূল গল্প গড়ে উঠেছে বহুল আলোচিত টাইটানিক জাহাজকে কেন্দ্র করে।

টাইটানিক জাহাজটি প্রথম যাত্রায়ই আটলান্টিক সাগরের ঠান্ডা পানিতে ডুবে গিয়েছিল। এ দুর্ঘটনায় অনেক মানুষ প্রাণ হারায়। কারণ খুব কম মানুষেরই ভাগ্য হয়েছিল অন্ধকার আর শীতল ভয়ের সেই রাতটাকে পেরিয়ে পরের দিনের সূর্য দেখার। আর সেই কয়েকজন সৌভাগ্যবানের মধ্যে ছিলেন রোজ নামে একটি মেয়ে।

জাহাজে খুঁজে পাওয়া নিজের ভালোবাসার মানুষ জ্যাকের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে বেঁচে ফিরেছিলেন তিনি। সিনেমাটিতে রোজ চরিত্রে অভিনয় করেন কেট উইন্সলেট আর জ্যাকের ভূমিকায় অভিনয় করেন লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

five × four =