স্পেনে রেমিটেন্স প্রেরণ উদ্বুদ্ধে মতবিনিময়

 

শিব্বীর আহমেদ: ২৩ জুন সকাল ১১টায় মাদ্রিদস্থ বাংলাদেশ এসোসিয়েশনের সভাকক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাস মাদ্রিদের আয়োজনে বাংলাদেশে রেমিটেন্স প্রেরণে উদবুদ্ধকরণ বিষয়ক একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্পেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জনাব মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ এনডিসি এর সভাপতিত্বে উক্ত সভায় বাংলাদেশ এসোসিয়েসন ইন স্পেন এর সভাপতি জনাব আল মামুন সহ স্পেনে রেমিটেন্স ব্যবসা পরিচালনাকারী ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ এবং প্রবাসী গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে বলেন, স্পেনে প্রায় ৫০ হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি বসবাসরত আছেন। প্রবাসীদের প্রেরিত রেমিটেন্সে সমৃদ্ধ হয় বাংলাদেশের অর্থনীতি। স্পেন থেকে বাংলাদেশে প্রেরিত রেমিটেন্স এর পরিমাণ প্রতিবছর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে স্পেন থেকে ৪৪.৩১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০২০-২১ অর্থবছরে ৫৩.৪৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিটেন্স বাংলাদেশে প্রেরিত হয় এবং স্পেন সার্সে কান্ট্রি হিসেবে ২৩তম স্থান অধিকার করে। ২০২১-২২ অর্থবছরের মে মাস পর্যন্ত প্রবাসী আয় প্রেরণের পরিমাণ ৫৭.৫৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশ সরকার রেমিটেন্স প্রেরণে আর্থিক প্রণোদনা ঘোষণা করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রেরিত রেমিটেন্সের উপর ২.৫% প্রণোদনা প্রদান করা হচ্ছে। ব্যাংকিং চ্যানেলে বৈধ ভাবে প্রেরিত রেমিটেন্সের জন্য উক্ত প্রণোদনা প্রযোজ্য হবে।

তিনি বলেন, আমাদের জাতির গর্ব পদ্মা সেতু আগামী ২৫ জুন শুভ উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। ৬.১৫ কিমি দীর্ঘ আমাদের এই পদ্মা সেতু প্রকল্পের ব্যয় প্রায় ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়াগে করে আমরা নিজেরাই পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি। প্রবাসী বাংলাদেশীরাও যার গর্বিত অংশীদার। তিনি জাতির এই অর্জনে সকল প্রবাসীদের আন্তরিক অভিনন্দন জানান।

উপস্থিত রেমিটেন্স ব্যবসা পরিচালনাকারী ব্যবসায়ীবৃন্দ এবং প্রবাসী ব্যক্তিবর্গ স্পেন থেকে বাংলাদেশে রেমিটেন্স প্রেরণে নানা ধরনের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। তারা বলেন ব্রেক্সিট এর পর ব্রিটেন ভিত্তিক রেমিটেন্স হাউজগুলো স্পেনে কাজ করতে না পারায় দেশে রেমিটেন্স প্রেরণে কিছু সমস্যা হচ্ছে। পাশাপাশি একজন ব্যক্তির রেমিটেন্স প্রেরণে ত্রৈমাসিক একটি সিলিং থাকায় এর বেশি রেমিটেন্স বাংলাদেশে প্রেরণ সম্ভব হয় না বলে তারা জানান। রাষ্ট্রদূত উক্ত সমস্যা সমাধানকল্পে স্পেন এবং বাংলাদেশ সরকারের সাথে আলোচনা করার আশ্বাস দেন।

তিনি স্পেন প্রবাসীদের বাংলাদেশে রেমিটেন্স প্রেরণে উদবুদ্ধ করতে রেমিটেন্স পুরস্কার প্রদানের ঘোষণা করেন। ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে বাংলাদেশে সর্বাধিক রেমিটেন্স প্রেরণকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে প্রতি বছর ১৮ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসে এই পুরস্কার প্রদান করা হবে মর্মে তিনি অবহিত করেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

fifteen − eight =