কলম্বো টেস্ট: দ্বিতীয় দিনশেষে ম্যাচের নিরংকুশ নিয়ন্ত্রণে শ্রীলঙ্কা

টেস্ট ম্যাচের ১৫ সেশনের ৬ সেশন শেষ হয়েছে। স্বাগতিক দল প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ২৪৭ রানের জবাবে ২৯০ /২ করে  ৮ উইকেট হাতে রেখে ৪৩ রানে এগিয়ে আছে. উইকেট পরিস্থিতি থেকে কারো অনুমান করতে অসুবিধা হবে না নাটকীয় কিছু না ঘটলে স্বাগতিক দল ৪৫০-৫০০ রান করে বাংলাদেশকে চেপে ধরবে ,তৃতীয় এবং চতুর্থ দিন বাংলাদেশকে বিশাল পরাজয় এমনকি ইনিংস ব্যাবধানে পরাজয় এড়ানোর জন্য লড়াই করতে হতে পারে। অথচ এইতো কিছু দিন আগেই গল টেস্টে বাংলাদেশ ভালো খেলে ছিল নিয়ন্ত্রণে।

কলম্বো টেস্টে টস জিতে ব্যাটিং করেছিল বাংলাদেশ। উইকেটে কোন দৈত্য দানব ছিল না. ১১ জন ব্যাটসম্যানের ৭ জন ২১ থেকে ৪৬ করেছে। অন্তত দুইজন যদি ৮০-৯০ করতো বা একটি দুটি শত রানের পার্টনারশিপ হত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩৫০-৪০০ হতে পারতো। অন্তত ৫ জন ব্যাটসম্যান উইকেটে স্থিতু হয়ে দায়িত্বহীন স্ট্রোকস খেলে উইকেট ছুড়ে দিয়েছে। পরিণতি ২৪৭ রানে গুটিয়ে যাওয়া।

একই উইকেটে বাংলাদেশের ৫ বোলারের ( ৩ স্পিনার ২ পেসারের ) বিরুদ্ধে সাবলীল ব্যাটিং করে ৭৮ ওভারে ২ উইকেটে শ্রীলংকা করেছে ২৯০. প্রথম উইকেট জুটিতে লাহিরু উদারা (৪৮) এবং পিথুন নিঃশঙ্কা (১৪৪*) ৮৮ রানের শুভ সূচনার পর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দীনেশ চান্দিমালকে নিয়ে নিঃশঙ্কা ১৯৪ রানের বিশাল জুটি গড়ে বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছে। ১৫৩ বল খেলে ১০ চার আর এক ছয়ে ৯৩ রান করে দীনেশ চান্দিমাল ফিরে গেলেও ১৪৬ রানে অপরাজিত আছে নিঃশঙ্কা।

এখনো ব্যাট করতে মুখিয়ে আছে ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ,কুশল মেন্ডিস ,কামিন্দু মেন্ডিসের মত জাদরেল ব্যাটসম্যান। তৃতীয় দিনের সকালের সেশনে বাংলাদেশ দ্রুত ২-৩ টি উইকেট তুলে নিতে না পারলে শ্রীলংকা রানের পাহাড় গড়ে চেপে ধরবে বাংলাদেশকে। তৃতীয় দিন শেষ সেশন এবং চতুর্থ দিন বাংলাদেশকে পরাজয় এড়ানোর জন্য কঠিন লড়াই করতে হবে.

ভেবে পাই না মাত্র কয়েকদিনের ব্যাবধানে বাংলাদেশ টেস্ট দল কেনো মুদ্রার দুই পিঠ দেখে ফেললো ? কেন টেস্ট ক্রিকেট খেলার রজত জয়ন্তীর দিনটি উজ্জ্বল করতে পারলো না বাংলাদেশ? এই ম্যাচে পরাজয় এড়াতে হলে অতিমানবীয় কিছু করতে হবে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় ইনিংসে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

sixteen + 6 =